ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও হোয়াইট হাউসে ফিরে আসার মাধ্যমে বৈশ্বিক কিছু সংঘাতে নতুন মোড় আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তার প্রধান নীতিগত লক্ষ্যগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে বিশ্বজুড়ে চলমান যুদ্ধে অবসান ঘটানো। সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, যদিও ট্রাম্প নির্দিষ্ট করে কোনো সংঘর্ষের কথা উল্লেখ করেননি, ভূ-রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, তিনি ইউক্রেন ও ইসরাইলের সংঘাতের দিকেই বিশেষ গুরুত্ব দেবেন।
ট্রাম্প তার বিজয় ভাষণে বলেন, "আমি যুদ্ধ শুরু করতে যাচ্ছি না; বরং যুদ্ধ বন্ধ করতে যাচ্ছি।" ২০১৬ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে তার শাসনামলে যুদ্ধ এড়ানোয় বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছিলেন তিনি। উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এই সময়ে কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের প্রচেষ্টা চালিয়েছিলেন, যা ছিল একটি নজিরবিহীন পদক্ষেপ।
নির্বাচনের পর অনেকেই মনে করছেন, ট্রাম্প ইউক্রেনকে দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহায়তা কমিয়ে দিতে পারেন, যা ইউক্রেন যুদ্ধের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনতে পারে। ট্রাম্পের রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকার কারণে ইউক্রেন ইস্যুতে তার পদক্ষেপ আন্তর্জাতিকভাবে নজরদারিতে থাকবে।
এছাড়া গাজায় ইসরাইল-হামাস সংঘাত নিয়েও ট্রাম্প ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে আগ্রহী। তিনি দাবি করেছিলেন, প্রয়োজনে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গাজা যুদ্ধ থামাতে সক্ষম তিনি। ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সঙ্গে তার সুসম্পর্ক থাকায় এটি আরও সম্ভব বলে মনে করা হচ্ছে। যুদ্ধ বন্ধের ক্ষেত্রে তার সুসম্পর্ক কীভাবে কাজে লাগানো হয়, সেটি দেখার জন্য বিশ্ববাসী তাকিয়ে আছে।